রোহিঙ্গা




Rohinga এর ছবি ফলাফল

বাংলাদেশ হল জন বহুল দেশ। এখানে অনেকেই দরিদ্র সীমার নিচে বাস করে। দেশে অর্থনৈতিক সমস্যার সাথে সাথে বেকারত্তের সমস্যা ও ব্যপক। এর মাঝে  বন্যাতে অনেক বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে  বাংলাদেশ।
তার উপর রহিঙ্গারা এসে জুটেছে। কয়েক হাজার  হলে একটা কথা ছিলো,এসেছে কয়েক লাখ।পরিস্থতি দেখে ত মনে হচ্ছে মিয়ানমার ওদের আর নেবেনা। কিছুদিন না হয় ত্রান দিয়ে ওদের থাকতে দিলাম। তারপর??
 ওদের কি আমাদের দেশেই রেখে দিতে হবে? একটা  সন্তাকে  মানুষ করতে কত খরচ হয় তা তো নিজেকেই দেখেই বুঝতেছি। তাহলে এতো লাখ লাখ মানুষকে কিভাবে চালাবে  বাংলাদেশ সরকার?
সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রায় কয়েক লাখ শিশু আছে রোহিঙ্গা শিবিরে।এদের কি বড় করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার নেবে? রোহিঙ্গা শিবিরে ইতিমধ্যে অন্তস্ব‌ত্বা‌ আছে প্রায় নব্বই হাজার। মানবিক দিক থেকে দেখলে বাংলাদশ সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার মতো একটা কাজ করেছে।

কিন্তু যদি অর্থনৈতিক দিক থেকে দেখা যায়, তবে ত্রান দিয়ে কতদিন  চলবে? সব সংস্থা ও দেশ গুলো কি সারাজীবন  ত্রান দিতেই থাকবে। আসলে না। তাহলে রোহিঙ্গারা কিভাবে তাদের ভরণপোষণ করবে? তাহলে কি তারা আমাদের অর্থনৈতিক কাজে অংশ নেবে?  মূল কথা এমন মনে হচ্ছে রোহিঙ্গারা আমাদের অংশ হতে চলেছে।

যতদুর জানি, রোহিঙ্গারা অধিকাংশই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা পড়ালেখা ও তেমন জানেনা, জানলেও কি তারা এদেশের চাকুরিতে অংশ নেবে? যেখানে এদেশের লক্ষ লক্ষ বেকার চাকুরির পথ চেয়ে বসে আছে।

সন্ত্রাসীতে ও তারা কম যায়না। একটা কথা তো স্পষ্ট , পবর্তীতে তারা সংসার চালানোর জন্য হলে ও তো কিছু করতে হবে। এদেশে যেহেতু তাদের কিছু নেই তাই, অধিকাংশই সন্ত্রাসের পথে চলে যেতে পারে।



সবশেষে, একটা প্রশ্ন মনে থেকেই যায়, রহিঙ্গারা কি কখনো এদেশকে ভালবাসতে পারবে? সে ওরা যতদিনই থাকুক।

আল্লাহর কাছে একটাই প্রার্থণা করি মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের খুব দ্রুত ফিরিয়ে নিয়ে যাক।




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বপ্ন

হুজুগে বাঙালি