পোস্টগুলি

ব্যতিক্রম

 ব্যতিক্রম মানবিক গুণ ছাড়া মানুষ আমি  জন্মের পর পরিচয় পত্র পেয়েছি। যুদ্ধে আমি রত জন্ম থেকে  কিন্তু যুদ্ধ শুরু হয়েছে জন্মের ও আগে। আমি নতুন সৈনিক, নতুন উদ্যমে  জ্ঞান করি, যা আমার তাই ঠিক  অন্যের সবকিছু ভুল  যদিও মানুষ তারা। আমি করিনিকো যাচাই আমার কিছু  আ‌মি ব‌্যতিব্যস্ত ভুল খুজতে অন্যের। শুনতে নারাজ বৈসাদৃশ্য কোন কিছু  টগবগিয়ে ওঠে রক্ত কোন কিছু বোঝার আগে বিচারের আগে আমি শাস্তি দেই নিরপরাধিকে। আমি কখনো বুঝিনি, করিগো অপমান নিজেকে  সাম্যের বুলি আমি মুখে আওড়াই  অন্তর মোর বিষে পরিপূর্ণ। স্বজাতি আমার ভাই, সেখানেও বিভোজন  পরিস্থিতি অনুযায়ী সবাই আপন  পরিস্থিতি অনুযায়ী শত্রু। টাকা, পরিশ্রম, সময় দিয়ে কাগজে কিনছি  কাগজের কথা বোঝার সামর্থ্য নেই। হিংসায় পরিপূর্ণ বিশ্ব  সহনশীলতার বড় অভাব ভালোবাসা শুধু অভিনয়। নিজেকে আমি মহাজ্ঞানী ভাবি  বুঝার আগেই সব জায়গায় মন্তব্য করি।  যদি দেখি বিষয়টা আমার স্বার্থের   তো সমর্থন চোখ বু‌জে।  আর যদি হয় ব্যতিক্রম  ওসব লোক দেখানো, সমাজ নষ্টের কারণ।  আম...

স্বপ্ন

ছবি
আজকের ইন্টারভিউ টি সহ আজ প্রর্যন্ত ২৭ টি  ইন্টারভিউ দিলাম এই ১.৫ বছরে। কিন্তু ১টি চাকুরি ও পেলাম না।ভার্সিটিতে  থাকতে বন্ধুরা বলতো, সবার আগে নাকি আমার চাকুরি হবে, কারণ আমার সিজিপিএ মোটামুটি ভালই ছিল। কিন্তু আজকের দিনের বাস্তবতা, আমি ছাড়া প্রায় সবারই চাকুরি হয়ে গেছে।  আমার  যে মামা খালু নেই, ঘুষ দেওয়ার মত ও সামর্থ্য নেই।  কি হবে ভাল সিজিপিএ দিয়ে! আমার ব্যাচের যে ছেলেটা সকালে বাইক অথবা প্রাইভেট কার নিয়ে ভার্সিটিতে আসত,  লেখাপড়া  না করে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে সারাক্ষ্ণ ঘুরাঘুরি করত, পরীক্ষার সময় নকল অথবা বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে পাস করতো, সে ও আজ একটা ভাল চাকুরি পেয়েছে। আমার বাবা মা অল্প শিক্ষিত, আমি স্কুল থেকে দেখেছি তারা তাদের সব শখ বাদ দিয়ে আমাদের তিন ভাইকে কিভাবে মানুষ করেছে। কখনই  আমরা কোন অভাব বুঝতে পারিনি,  এর পেছনে যে এত ত্যাগ , মনে করলেই কান্না পায়। সাধারণত স্বপ্ন দেখে ছেলেমেয়ে বড় হলে তাদের সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে। কিন্তু শতকরা কতজনের স্বপ্ন পূরণ হয়! সন্তানেরা ভাল পর্যায়ে যেতে যেতে অনেক সময় পার  হয়ে যায়। ততদিনে মা বাবা আর একবার নিরব...

সন্ত্রাসী মুসলিম

ছবি
পুরো পৃথিবীতে যদি অপরিবর্তনীয় একটা ধর্মীয়  গ্রন্থ থাকে তবে কোরান শরীফ আছে। শত শত বছর ধরে  মুসলিমদের নামে তো অনেক অপবাদ দিয়েছে। কোনটাই কি প্রমাণ করতে পেরেছে? না পারেনি তবে কিসের এত বাহাদুরি ঐসব বাতিলদের! সব সময় শুনতেছি মুসলিমরা নাকি জংগী, সন্ত্রাসী। কেউ কি প্রমাণ করতে পেরেছে যারা এসব করছে তারা মুসলিম? না পারেনি।  এখন কেউ যদি বলে তারা মুসলিম, তাদের সুন্নতে খৎনা  হয়েছে এবং জন্ম মুসলিম পরিবারে। এর উত্তরে আমি বলতে চাই, সুন্নতে খৎনা বা মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েও, কেউ ইসলাম পালন না করে কেউ মুসলমান হতে পারে না।মুসলিম হতে হলে অবশ্যই ইসলামের বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।  আর ইসলাম কখনও বলেনা সন্ত্রাসী করতে। ইসলাম হল শান্তির ধর্ম। পৃথিবীর দিকে তাকালে মনে হয়, এখানে ২টা ধর্ম আছে। মুসলিম আর অমুসলিম। অন্য সব ধর্ম যেন ইসলামের বিপক্ষে।আমরা তো কারো বাড়া ভাতে ছাই দিতে যাইনা। তবে কেন আমাদের সাথে এমন হবে।  বর্তমানে তো আমাদের ধর্ম আমরা ঠিক ভাবে পালন করতে পারছিনা। আমদের দাড়ি রাখলে সমস্যা, পাঞ্জাবি, টুপি পড়লে সমস্যা। আরে ভাই আমরা কি অন্য কোন ধর্মে নাক গলাতে যাই! তবে ...

রোহিঙ্গা

ছবি
বাংলাদেশ হল জন বহুল দেশ। এখানে অনেকেই দরিদ্র সীমার নিচে বাস করে। দেশে অর্থনৈতিক সমস্যার সাথে সাথে বেকারত্তের সমস্যা ও ব্যপক। এর মাঝে  বন্যাতে অনেক বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে  বাংলাদেশ। তার উপর রহিঙ্গারা এসে জুটেছে। কয়েক হাজার  হলে একটা কথা ছিলো,এসেছে কয়েক লাখ।পরিস্থতি দেখে ত মনে হচ্ছে মিয়ানমার ওদের আর নেবেনা। কিছুদিন না হয় ত্রান দিয়ে ওদের থাকতে দিলাম। তারপর??  ওদের কি আমাদের দেশেই রেখে দিতে হবে? একটা  সন্তাকে  মানুষ করতে কত খরচ হয় তা তো নিজেকেই দেখেই বুঝতেছি। তাহলে এতো লাখ লাখ মানুষকে কিভাবে চালাবে  বাংলাদেশ সরকার? সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রায় কয়েক লাখ শিশু আছে রোহিঙ্গা শিবিরে।এদের কি বড় করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার নেবে? রোহিঙ্গা শিবিরে ইতিমধ্যে অন্তস্ব‌ত্বা‌ আছে প্রায় নব্বই হাজার। মানবিক দিক থেকে দেখলে বাংলাদশ সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার মতো একটা কাজ করেছে। কিন্তু যদি অর্থনৈতিক দিক থেকে দেখা যায়, তবে ত্রান দিয়ে কতদিন  চলবে? সব সংস্থা ও দেশ গুলো কি সারাজীবন  ত্রান দিতেই থাকবে। আসলে না। তাহলে রোহিঙ্গারা কিভাবে তাদের ভরণপোষণ করবে? তাহলে কি তার...

হুজুগে বাঙালি

ছবি
পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে , বুদ্ধিমান আর বোকা। অধিকাংশ মানুষ বোকার ঘরে পড়ে থাকে। কারণ একটা ই তারা নিজের জিবন নিয়ে কখন চিন্তা করার সুজোগ পাইনি। তারা অন্যের উপদেশ শুনতে শুনতেই জিবন পার করে দেয়। জাতির দিক থেকে বিবেচনা করলে বাঙালি জাতি অন্যতম। প্রথমেই আমাদের জীবন চক্রটা বলি। জন্ম --পড়াশুনা--চাকুরি---বিবাহ-- বৃদ্ধ আমরা শুধুই অন্যদের  জিবনের সাফল্য পড়েই সময় পার করেদিলাম।  স্বপ্ন কখনও পুরণ করার সুজোগ পাইনা। আচ্ছা, আমাদের দেশে তো শিক্ষিত মানুষ কম নেই। তারা কি করে? তারা কি শুধুমাত্র নিজদের কথা চিন্তা করবে!  তাদের কি এই সমাজের প্রতি কোনো দায়িত্ব নেই। ভাবতেই তো কেমন লাগে। এদের এতো বড়ো বড়ো ডিগ্রি দিয়ে কি করবে?  কোন দিকে তাকাবো সব দিকেই তো সমস্যা। লেখাপড়ার যে মান দাড়িয়েছে তাতে করে , এই পড়ালেখার কোন মানে হয় না।   এখনকার  সব থেকে লাভজনক ব্যবসা হল শিক্ষা ব্যবসা। দুর্ণীতির  কথা না ই বললাম, সেটা সবাই জানে।